আজিবন বদরী সদস্য ফরম ☐
অত্র মাদরাসায় স্বেচ্ছায় দান করে সদকায়ে জারিয়ার অফুরন্ত সওয়াব এবং দুনিয়া-অাখেরাতের সফলতা অর্জনের উদ্দেশ্যে
অাজীবন বদরী সদস্য হওয়ার নিয়মাবলীঃ
১) বছরের যে কোন সময় সদস্য হওয়া যায় এবং যে কোন সময় টাকা পরিশোধ করা যায়।
২) আপনার প্রদত্ত টাকা দান বা যাকাত যে কোন খাত থেকে দেওয়া যাবে। তবে খাত উল্লেখ করে দিতে হবে। যাতে নির্ধারিত খাতে ব্যয় করে জিম্মাদারী অাদায় করা সম্ভব হয়।
৩) অাজীবন বদরী সদস্য হতে হলে বাৎসরিক সর্বনিম্ন ৩,০০০ (তিন হাজার) বা তদুর্ধ টাকা দিয়ে সদস্য হতে হয়।
আজীবন বদরী সদস্য ফরম সংগ্রহ করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুনঃ
বরকতময় ৩১৩ জন বদরী সদস্য নেয়া হচ্ছে, আজই সদস্য হোন।
সদস্য হবার জন্য আজই রেজিষ্ট্রেশন করুন।
http://+8801871-177563
বরকতময় ৩১৩ জন বদরী সদস্যের তথ্যঃ
৩১৩ জনের আপনি কয় নাম্বারে, কোন বদরীর সাহাবীর সঙ্গে আপনার সংখ্যার মিল রয়েছে দেখতে ক্লিক করুন:-
বদরী সাহাবীদের নাম, গুরুত্ব ও তাৎপর্য
বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবায়ে কেরামগনের (রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুম আজমাঈন) নামের তালিকা এবং ৩১৩ সংখ্যার তাৎপর্য ও ইতিহাস সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হলঃ-
৩১৩ সংখ্যার তাৎপর্য ও ইতিহাস
* ইসলামের প্রথম জিহাদ বদর রনাঙ্গনে হযরত রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর প্রাণপ্রিয় সাথী-সঙ্গী ছাহাবাগণের সংখ্যা ৩১৩।
* আল্লাহ তা‘আলার প্রেরিত লক্ষাধিক পয়গাম্বরগণের মধ্যে রাসূলগনের সংখ্যা ৩১৩।
* হযরত ইব্রহীম (আঃ) এর সহগামীদের সংখ্যা ৩১৩।
* আল্লাহ তা’আলার প্রিয় বান্দা ও মনোনীত বাদশাহ হযরত তালূতের বিজয় অভিযানে সাথীগণের সংখ্যা ৩১৩।
* দুনিয়ার ধ্বংস লগ্নে শান্তির প্রতীক আল্লাহ্ তাআলার দ্বীনের সর্বশেষ পতাকা উত্তোলনকারী হযরত মাহ্দী (রাযিঃ) এর মূল বাহিনীর সংখ্যা ৩১৩।
অতএব, আমরা দেখি ৩১৩ সংখ্যার ইতিহাস একটি যুগান্তকারী বরকতময় ইতিহাস। যুগে যুগে এ সংখ্যা এনেছে পৃথিবীতে মানব মুক্তি ও কল্যাণের সুবাতাস। এনেছে সত্য ও ন্যায়ের শান্তিময় মানদন্ড। তাই এ সংখ্যা একদিকে যেমন হয়েছে এক উজ্জ্বল ইতিহাস, তেমনি এ সংখ্যায় রয়েছে প্রতি যুগে যুগে মুমিনের প্রেরণা।
৩১৩ জন বদরী সাহাবীর কতিপয় বরকতঃ
ইতিহাসের পাতায় পাতায় সোনালী অক্ষরে বরকতের ছাপ হয়ে আছে বদরী সাহাবীদের ৩১৩টি নাম।
বুযুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত যে, যে কোন বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি লাভের আশায় আল্লাহর দরবারে সেই মহান সাহাবীদের নামের উসিলা দিয়ে দু’আ করলে অতি দ্রত কবুল হয়ে থাকে।
অতএব যে ঘরে তাদের বরকতময় নাম সংরক্ষিত থাকবে সেই ঘরে বরকতেরও আশা করা যায়।
আজীবন বদরী সদস্য ফরম সংগ্রহ করুন
আমি কেন সদস্য হব ?
ক্ষনস্থায়ী এ দুনিয়াতে আমাদের আত্নীয় স্বজন অ পরিচিতজন অনেকেই বেঁচে নেই। আমাকেও একদিন এ ক্ষনস্থায়ী এ দুনিয়া থেকে চলে যেতে হবে। আমার সাথে আমার ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততী, আত্নীয়-স্বজন কেউ যাবে না, যাবে শুধু আমার নেক অ কৃত সদকায়ে জারিয়া ইত্যাদি। এ সম্পর্কে নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ ” মৃত ব্যাক্তির সাথে (কবর পর্যন্ত) তিনটি জিনিস যায়
(১) পরিবার-পরিজন, (২) ধন-সম্পদ, (৩) আমল
অতঃপর পরিবার-পরিজন, ধনসম্পদ ফিরে আসবে । আর কৃত আমল সমূহ তার সঙ্গে থেকে যাবে ।”
– মুসলিম শরীফ
কেন এ কাফেলা সদস্য সংখ্যা ৩১৩ জন ?
- রসুলগণের সংখ্যা ৩১৩ ।
- হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর সহযোগীদের সংখ্যা ৩১৩ ।
- বাদশাহ তালুতের বিজয়ী সাথীদের সংখ্যা ৩১৩ ।
- দুনিয়ার শেষ লগ্নে হযরত মাহদী (রাঃ) – এর মুল বাহিনীর সংখ্যা ৩১৩ ।
- বদরের যুদ্ধে সাহাবীদের সংখ্যা ৩১৩ ।
- হযরত থানবী (রহ) স্বীয় গ্রন্থ ” মুনাজাতে মাকবুল” বদর যুদ্ধের ক্ষমাপ্রাপ্ত ৩১৩ জন সাহাবীর নামে উৎসর্গ করেছেন । তাই ঘটনা প্রবাহের বহুলতায় সংখ্যাটি অতি মাকবুল ও গুরুত্ত্বপুর্ণ ।
আল্লাহ তা’আলার ঐ সকল মাকবুল বান্দাগণের সংখ্যা ৩১৩ – এর অনুসরণে আজীবন সদস্য ৩১৩ নির্ধারিত হয়েছে । আপনিও সেই বরকত পরশিত ৩১৩ জন সাদৃশ্য একজন গর্বিত সদস্য ।
কুরআনের পাতা থেকে
আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর, তোমাদের মৃত্যু আসার পুর্বে । কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব ! যদি আপনি আমাকে আরো কিছুকাল পযর্ন্ত সময় দিতেন, তাহলে আমি দান-সদকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম ।
– সুরা মুনাফিকুন, আয়াত -১০
হাদিসের পাতা থেকে
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, “যখন মানুষ মরে যায় তখন তার আমল নামায় সকল আমলের নেকী লেখা বন্ধ হয়ে যায় । কিন্তু তিন প্রকার আমলের নেকী লেখা বন্ধ হয় না ।
(১) সদকায়ে জারিয়া ।
(২) ঐ ইলম, যা দ্বারা মানুষ মৃত্যুর পরও উপকৃত হয় ।
(৩) এমন নেক সন্তান, যে দোয়া করতে থাকে ।”
— মুসলিম শরীফ